রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৭ আশ্বিন ১৪৩১
#
মহানগর মহানগর

এবার চাকরিটাই গেল সেই এসআই হেলালের

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২০ অক্টোবর ০৭, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
#
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের বাদামতলী এলাকায় এক কিশোরের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় পুলিশের এসআই হেলাল খানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি সিএমপির ডবলমুরিং থানায় কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এসআই হেলালকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। দায়ের করা হয়েছিল বিভাগীয় মামলাও। নগরীর আগ্রাবাদের বড় মসজিদ এলাকায় কিশোর সালমানের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনার পরই এসআই হেলালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটি ১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় গত ২০ জুলাই। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, এসআই হেলাল খান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই সাদা পোশাকে সোর্স নিয়ে ওই কিশোরের আগ্রাবাদের বড় মসজিদ গলির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি কিশোর সালমান ইসলাম মারুফের পরিবারের সদস্যদের মারধর এবং তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে এসআই হেলালকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশের তদারকির ‘ঘাটতি ছিল’ বলে উল্লেখ করে তাকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এসআই হেলালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। সেখানেও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই হেলাল চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আরও খবর চট্টগ্রামের থানায় থানায় সোর্সদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ, অপরাধে পুলিশই সহযোগী স্কুলছাত্রের আত্মহনন, এসআই হেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের গত ১৬ জুলাই রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার বড় মসজিদ গলিতে দুজন ‘সোর্স’ নিয়ে সাদা পোশাকে অভিযানে যান ডবলমুরিং থানা পুলিশের এসআই হেলাল। এ সময় কিশোর সালমান ইসলাম মারুফকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। সবার সামনে পুলিশের মারধরে মারুফের বোন আহত হলে তার মাকেসহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে মারুফের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সালমানের পরিবার দাবি করেছে, এসআই হেলাল তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। মারুফ স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। স্থানীয় একটি মার্কেটের এক দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে তিনি নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতেন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video