রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
মহানগর মহানগর

কনস্টেবল মোশারফকে ইয়াবা দেওয়া এএসআইয়ের খোঁজে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২০ নভেম্বর ২৩, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
#
রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেন (৩৭)। অন ডিউটিতে ছিলেন তিনি। কোনো ছুটি নেননি থানা থেকে। তার থাকার কথা রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকায়। অথচ তাকে পাওয়া গেলো চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার থানাধীন ওয়াসা মোড় এলাকায়। কোনো কাজে বা বেড়াতে এসেছিলেন তা নয়। এসেছিলেন ইয়াবা বিক্রি করতে। আর ইয়াবা বিক্রি করতে এসেই ধরা পড়েন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে। ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজার থানাধীন ওয়াসা মোড় এলাকায় হক লাইব্রেরির সামনে থেকে মো. মোশারফ হোসেনকে মোট ২ হাজার ৮৭৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাকে আসামি করে চকবাজার থানায় বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৭ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) অমল চন্দ। গ্রেফতার কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেন ফেনী জেলার সোনাগাজী থানাধীন নবাবপুর রঘুনাথপুর এলাকার জাফর আহম্মদের ছেলে। তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরের ২ নম্বর গেইট এলাকায় বসবাস করে। কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে চকবাজার থানাধীন ২ নম্বর পল্টন রোড ওয়াসা মোড় এলাকায় হক লাইব্রেরির সামনে ইয়াবা বিক্রির গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যদের দেখে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে ফেলেন। তার ডান পকেটে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ও বাম পকেটে ১ হাজার ২৭৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা জানতে পারেন আটক ব্যক্তি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেন। গ্রেফতার কনস্টেবল মোশারফ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি মো. মোশারফ হোসেন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি দাবি করেন, একজন এএসআই তাকে প্যাকেটগুলো দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই প্যাকেটে কী রয়েছে তা তিনি জানতেন না। চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্ত করছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাসান ইমাম। পরিদর্শক হাসান ইমাম বলেন, কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোশারফ হোসেন দাবি করেছেন- একজন এএসআই তাকে প্যাকেটগুলো দিয়েছিলেন। ওই প্যাকেটে কী রয়েছে তা মোশারফ জানতেন না। তাকে ইয়াবা দেওয়া ব্যক্তির এএসআই পদবি উল্লেখ করলেও জবানবন্দিতে তার নাম বলেননি মোশারফ। পরিদর্শক হাসান ইমাম বলেন, জবানবন্দিতে মোশারফ যে পদবিধারী ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন তাকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। তাকে খুঁজছি আমরা। র‌্যাবের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পরপরই কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী বলেন, ২১ অক্টোবর কনস্টেবল মো. মোশারফ হোসেন থানা থেকে কোনো ছুটি নেননি। তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video