করোনাকালী সরকার ঘোষিত প্রনোদনা নিশ্চিত ও কাজে যোগদানসহ বিভিন্ন দাবীতে আজ রবিবার সকালে ওয়াসাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাতীয় নিমার্ণ শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদি হাসান বলেন, আগামী ৫ই আগষ্টের মধ্যে করোনাকালীন প্রনোদনা প্রদান ও লকডাউনে কাজের অনুমতি না দিলে কঠোর কমর্সূচি ঘোষনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে লক্ষাধিক নিমার্ণশ্রমিক কর্মরত আছেন। সরকারের ঘোষণা মোতাবেক প্রত্যেক শ্রমিকের প্রনোদনা পাওয়ার কথা থাকলেও নির্মান শ্রমিকদের শুধুমাত্র ৫ থেকে ১০ভাগ পেয়েছেন। শ্রমঅধিদপ্তর তালিকা নিয়ে ফেরত দেন। সরকারী অনুদান না পাওয়ায় প্রনোদনা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। তারা প্রশ্ন করেন, “সরকার ঘোষিত নিমার্ন শ্রমিকদের বরাদ্দ প্রনোদনা পাচ্ছে কারা,যাচ্ছে কোথায?”
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে প্রণোদনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রণোদনা ক্ষতিগ্রস্ত এই বিশাল শ্রমগোষ্ঠির জন্য কোনভাবেই যথেষ্ট নয় । তাই বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য নগদ প্রণোদনা পেনশন স্কিম, রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সহ করোনা টেস্ট , করোনা টিকা ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসনসহ সরকারে দায়িত্বশীল কমর্কতার্দের আশ্বাস পেলেও কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না শ্রমিকরা। চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের বিভিন্ন কমর্কতার্দের পরার্মশ অনুযায়ী স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করলে ভোটার কিনা যাচাই-বাছাই করে,যারা ভোটার তাদেরকে কিছু দেয়া হয় অন্যদের দেন না। যেখানে ৮০ভাগ শ্রমিক ভাসমান, সেখানে দুই/একজনকে দিলে তো হবে না । তাদের শ্রম আর ঘামের বিনিময়ে গড়ে উঠে বিলাসবহুল অট্টালিকা । তাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমেই মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয় । তাই নির্মাণ শ্রমিকদের যে কোন বিপদে আমাদের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, জাতীয় নিমার্ণ শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয যুগ্ন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন তুহিন, অর্থ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফৈরদোস জামান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস,কার্যকরী সদস্য ইয়াছিন মিযাজি, আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বঙ্গঁবীর বড়ুয়া প্রমূখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন