চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন সফল করতে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থেকে ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভোটার সরঞ্জাম বুঝে নেন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোটারদের ইভিএম-এ ভোট দিতে উৎসাহিত করতে ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমজান আলী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৭ জন করে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ১৬ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে স্ট্রইাকিং ফোর্সের পাশাপাশি ডিবি’র মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ৩ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি দায়িত্বে থাকবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট কক্ষে অযাচিত কোনো ব্যক্তি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা থাকবেন। এর বাইরেও সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচন মনিটরিং করবেন। তারা এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন। কেন্দ্রে অযাচিত ব্যক্তি অবস্থান করলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন। এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
মন্তব্য করুন