রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৭ আশ্বিন ১৪৩১
#
মহানগর মহানগর

দিয়াজ হত্যা মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২৩ মার্চ ৩০, ০৩:২০ অপরাহ্ন
#

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদ এর আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে মামলার বাদী দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আগের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি।

তাই বিষয়টির পেছনের সত্যতা বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে।  

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, চবি ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মনসুর আলম, সাবেক সহ সভাপতি আবদুল মালেক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, সাবেক প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান ও সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চবির উত্তর ক্যাম্পাসের নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ। এ ঘটনার তিনদিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণকাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে আসছিল।  

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। জাহেদা আমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর মরদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজের শরীরে আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video