নেই কোনও ডিগ্রি, ছিল না প্রশিক্ষণ। পড়ালেখাও করেছেন প্রাথমিক পর্যন্ত।
এটুকুতেই হয়ে গেছেন ডাক্তার। নিজেই পরিচালনা করেন ডাক্তারি কার্যক্রম।
বিনা অনুমতিতে শল্য চিকিৎসা প্রদান করার অপরাধে আবদুল হালিম নামের এই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। অভিযানে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ইহাব সহযোগিতা করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত হালিম প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরে আধ্যাত্মিকভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানার খবর প্রচার করে মানুষকে নানাভাবে ধোঁকা দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম।
হালিম নাকের পলিপ ও আঁচিল খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সারিয়ে তুলতে পারেন বলে জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ শিকার করে নেওয়ায় হালিমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও শাহিদুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ‘মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ- ১৯৮২’ মোতাবেক এ দণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার চেম্বার বন্ধ করে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আফসারকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন