রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৭ আশ্বিন ১৪৩১
#
মহানগর মহানগর

সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ কেডিএস গ্রুপের!

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২০ নভেম্বর ২৮, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
#
বিদায়ী কর্মকর্তার দুর্নিতীর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে এলোমেলো জবাব দেয়ার পাশাপাশি ক্ষেপে গিয়ে সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরণ ও সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেডিএস গ্রুপের আইনজীবী ও কর্মকর্তারা। আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবি এ আবু হেনা বলেন, স্টীল সেক্টর সর্ম্পকে অনভিজ্ঞ ছিলো মনির। তখন সাংবাদিকরা বলেন, একজন অনভিজ্ঞ লোককে কেন একটা কোম্পানীর সর্ব্বোচ পদে (সিই্ও) নিয়োগ দেয়া হলো? তখন আবু হেনা রেগে গিয়ে বলেন, সকল সাংবাদিকেরাতো লেখাপড়া জানেনা। এখানে যারা আছেন তারাতো সাংবাদিকতা বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করে আসেননি। অন্য বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করে সাংবাদিকতা করা যায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর জবাবে আবু হেনা রেগে গিয়ে বলেন, অনেক অশিক্ষিত সাংবাদিক আছেন। সাংবাদিকরা হেনার এমন ঢালাও বক্তব্য পরিহার করার দাবী জানালে তিনি বক্তব্য প্রত্যহার করবেননা বলে অনঢ় থাকেন। মনির খানের বেতন সর্ম্পকে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে এক রকম প্রেসব্রিফিংএ আরেক রকম কেন? কেডিএস কেন এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে হেনা বলেন, আপনারা যে কোন একটা বেছে নিন। সাংবাদিকরা নির্দ্দিষ্ট করে বলতে বললে তিনি চুপ করে থাকেন। মনির খানের আমেরিকায় কোন বৈধ আয় ছিলোনা দাবী করে একটি তথ্য উপস্থাপন করা হয় , যেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় টাকা পাঠিয়ে জমি ফ্ল্যাটসহ প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে সাংবাদিকদের কাছে তার কোন ডুকমেন্ট দিতে পারেননি। দূর্নীতিতে কি মনির হোসেন একা জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন আরো ২/৩ জন জড়িত। সাংবাদিকদের তোপের মুখে কোন প্রশ্নেরই সঠিক জবাব দিতে না পেরে এক পর্যায়ে এ বিষয়ে আর সংবাদ সম্মেলনই করবেননা বলে জানান কেডিএস গ্রুপের চীফ অপারেটিং অফিসার( সিওও) জোবাইর হোসেন। বিদেশে সম্পদ অর্জন সম্পর্কে মনির হোসেনের পিতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, তার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অব আমেরিকার ফ্লোরিডায় ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে উচ্চ বেতনে চাকুরি করত। তার নিজস্ব আয় দিয়ে ২০০৩ সালে একটি বাড়ি কিনে। যা কেওয়াই স্টিলে যোগদানের আগেই বিক্রি করে দেয়। মোয়াজ্জেম হোসেন খানের মালিকানাধীন ইসাবেলা টাওয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এডভোকেট আবু হেনা । এই প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, আমার ব্যবসা মেরিনার্স ট্রান্সপোর্টেশন কোম্পানি লি. খুলেছি ১৯৮৫ সালে। আর ইসাবেলা টাওয়ারের জন্য জমি কিনেছি ২০০০ সালের আগে। ভবনের নির্মান কাজ শুরু করেছি ২০০৩ সালে। কাজ সম্পন্ন হয় ২০০৭ সালে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video