শুক্রবার, ২০২৫ মে ০২, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
#
মহানগর মহানগর

সিআইডির রিপোর্ট: এইট এমএম পিস্তলও আগ্নেয়াস্ত্র নয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২২ মে ০৯, ০২:০৬ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রাম কাস্টমসের বৈদেশিক ডাক বিভাগ থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার মামলার তদন্ত নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো এইট এমএম পিস্তল হলেও বুলেট বের হওয়ার স্থান বন্ধ থাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। এ ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট মামলার প্রভাবশালী আসামিদের রক্ষা করবে বলে অভিযোগ সরকার নিয়োজিত কৌঁসুলির।

সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইট এমএম ক্যালিবারের ব্ল্যাঙ্ক ফায়ারিং পিস্তল হলেও এগুলো দিয়ে কোনো প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা যায় না। অস্ত্রের ব্যারেল লাল পদার্থ দিয়ে বন্ধ, তাই এগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নয়। তবে সেগুলো সচল রয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার পিস্তলগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নয় বলে সিআইডির প্রতিবেদন পেয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে মামলার তদন্তকারী বন্দর থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রয়োজনে অস্ত্রগুলো আমরা আবার ঢাকায় পাঠাব। সেখান থেকে কী মতামত আসে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 
গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বৈদেশিক ডাক বিভাগে ইতালি থেকে আসা একটি সন্দেহভাজন পার্সেল থেকে দুটি খেলনা পিস্তলের পাশাপাশি দুটি অত্যাধুনিক এইট এমএম পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয় পার্সেলের প্রাপক আয়কর বিভাগের কর্মচারী কামরুল হাসান। এ ক্ষেত্রে লাল রঙের পদার্থ সরিয়ে ব্যারেলকে উন্মুক্ত করা গেলে এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু সিআইডির প্রতিবেদনে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লাল রঙের কোনো পদার্থের ছিপি লাগানো আছে বলে সেগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নয় বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পাদার্থ সরিয়ে ফেললেই এগুলো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাজেই অস্ত্র আইনে এটার চার্জশিট দেওয়া যাবে।’

পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চোরাই অস্ত্রের বাজারে এ ধরনের একটি এইট এমএম পিস্তলের দাম ৮ লাখ টাকার বেশি।

এদিকে, অস্ত্র মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার বিধান থাকলেও জটিলতার কারণে দিতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় অধিকতর ব্যালিস্টিক পরীক্ষার জন্য সিআইডি ঢাকা সদর দফতরে আলামত পাঠিয়েছে পুলিশ।


সিএমপির বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে মতামত চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু মতামত আমাদের হাতে এসেছে। অন্য মতামতগুলো এলে আমরা নিখুঁতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব।’

অস্ত্রের চালানের সঙ্গে কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মূল হোতা রাজীব বড়ুয়া অস্ত্র উদ্ধারের পর খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। 

সূত্র: সময়নিউজ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video