ডারবানের পর পোর্ট এলিবাথেও বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ। রিভিউর মাধ্যমে ২টি আউট আদায় করতে হয়েছে টাইগারদের। সেই সঙ্গে সঠিক রিভিউ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল। তৃতীয় ওভারেই নিশ্চিত আউট, অধিনায়ক রিভিউ নিতে পারেননি সময়মতো। যার ফলে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।
মহাকালের ধাঁধায় যেন পড়েছেন মুমিনুল। রাজ্যের চাপে ভেঙে পড়ছে টাইগার অধিনায়কের কাঁধে। সাদা পোশাকের দায়িত্বে তার অবস্থা যেন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। মাঠে তার সিদ্ধান্তগুলোর জন্য ভুগতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। পারফরম্যান্স নয়, সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় মুমিনুলের অধিনায়কত্ব।
ডারবানে তো উইকেটটাই বুঝতে ভুল করলেন। টস জিতে নিলেন ভুল সিদ্ধান্ত। যার ফলে চতুর্থ ইনিংসে ৫৩ রানের লজ্জা বাংলাদেশের। সঙ্গে তার নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দেশের বাইরে তার ব্যাট হাসছে না প্রত্যাশানুযায়ী, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা মাঠে কতটা বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারছেন অধিনায়ক? দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে, নিতে হয় সাহসী সিদ্ধান্ত। সেখানে অনেকটাই ব্যর্থ মুমিনুল। দক্ষিণ আফ্রিকায় সঠিক সময়ে রিভিউ নিতে না পারাটাও দলের ফলাফলে রাখছে প্রভাব।
দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য কিছুটা নিস্তার পেয়েছেন। টস না জেতায় সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়নি। তবে ম্যাচ শুরু হতেই পুরনো চেহারা মুমিনুলের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লেগ বিফোরের আবেদন করলেন খালেদ আহমেদ। অবশ্য আগের ম্যাচের বিতর্কিত ফিল্ড আম্পায়ার হোল্ডস্টোকের পরিবর্তে নতুন আম্পায়ার আল্লাহুদায়ইন পালেকার একই ভূমিকায়। আউট দিলেন না। বোলার খালেদ বারবার বললেও দ্বিধান্বিত অধিনায়ক রিভিউ নেওয়ার আগেই সময় শেষ। পরবর্তীকালে দেখা যায়, আউট হয়েছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার সারেল এরউই।
ডারবানের থেকে পোর্ট এলিজাবেথ। মুমিনুলের কনফিউজিং অধিনায়কত্বের সঙ্গে বাজে আম্পায়ারিং পুরনো দৃশ্য। পরিবর্তন করা হয়েছে ফিল্ড আম্পায়ার কিন্তু পরিবর্তন হয় না পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত। নতুন আম্পায়ার আল্লাহুদায়ইনের সঙ্গে অভিজ্ঞ এরাসমাসের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।
রিভিউ ছাড়া যেন আউট পাওয়া যাবে না বাংলাদেশের। দুই আম্পায়ার যেন এমন পণ করে বসে আছেন। রিকেলটনের হাতে লেগে বলটা ক্যাচ হয়েছে। কিন্তু আউট দিলেন না এরাসমাস। সেই রিভিউ নিয়েই উইকেট পেতে হলো বাংলাদেশকে।
কিগান পিটারসনের উইকেটও বাংলাদেশকে নিয়েছে রিভিউয়ের সহায়তায়। বাজে আম্পায়ারিংয়ের এক অনন্য দৃষ্টান্ত যেন স্থান করতে মরিয়া প্রোটিয়া দুই আম্পায়ার।
মন্তব্য করুন