কলেজছাত্র মামুনকে (২২) বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় উদ্ধার হলো কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ। তার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। স্বজনদের দাবি মামুন মাদকাসক্ত। সে নানান সময় স্ত্রীর কাছে টাকা চাইতো।
টাকা না দিলে অশান্তি করতো। এ নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন কলেজশিক্ষিকা। এছাড়া বয়সে ছোট ছেলেকে বিয়ে নিয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীদের কটু কথা তো আছেই।
নাটোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দীন জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। আর পিবিআই পুলিশ ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ।
কী কারণে মৃত্যু হতে পারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানিয়েছে, মামুনের মাদকের মামলায় আসামি হওয়া, বখাটেদের সঙ্গে মারামারি, নতুন মোটরসাইকেল চাওয়া, স্বজন ও প্রতিবেশীদের কটু কথা, সংসার চালানোয় টানাপোড়েন-- এসব কারণে মানসিক চাপে ছিলেন শিক্ষিকা।
শিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের হোসেনের দাবি, বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে খায়রুন নাহারের আত্মীয়, সহকর্মী, পরিচিতজনরা বিভিন্ন সমালোচনা করেছেন। কেউ এটাকে পজিটিভ আবার কেউ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
এ নিয়ে চাপে ছিলেন খাইরুন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন তা তার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার করার আহ্বান জানান তিনি। তবে খাইরুনের আগের স্বামী বা সন্তানের পক্ষ থেকে কোনও চাপের বিষয় তারা শোনেননি।
ওই শিক্ষিকার বাবার বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়ের স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ সবুজ জানান, মেয়ের পরিবার অত্যন্ত ভালো। তবে ওই ছেলে মাদকাসক্ত বলে শোনা গেছে। এই মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার খামার নাচকৈড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে তার বাবার বাড়ি এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সন্ধ্যায় মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন