বৃহস্পতিবার, ২০২৫ মে ০১, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
#
জেলা-উপজেলা জেলা-উপজেলা

‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে’

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২২ আগস্ট ২১, ০২:৫২ অপরাহ্ন
#

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করার পর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু পরক্ষণেই ওই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

রোববার (২১ আগস্ট) সকালে বুকে ‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে’ স্লোগান লিখে আবারও লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। এ সময় তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

জানা যায়, সপ্তাহজুড়ে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চা শ্রমিকরা আন্দোলনে ছিলেন। মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা উন্নীত করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা।

শনিবার (২০ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে পুনরায় বৈঠকের পর মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানো হলে প্রথমে শ্রমিকরা তা মেনে নেন। কিন্তু পরে তা প্রত্যাখ্যান করেন। রোববার থেকে আবারও লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।

গত ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির আগে তিন দিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন শ্রমিকরা। পরে লাগাতার কর্মবিরতির পাশাপাশি আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যান শ্রমিকরা।


এদিকে পরিস্থিতি নিরসনে আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে এবং বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার শ্রম ভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেন শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মালিকপক্ষ। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলংকায় শ্রমিকদের দেয়া মজুরির সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) শ্রীমঙ্গল পুনরায় বৈঠকের পর দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানো হলে শ্রমিকরা তা মেনে নেন। তবে তারা পরে তা প্রত্যাখ্যান করে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালি শাখার সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ ভারতে কোনো জায়গায় ২৪০ রুপি, কোনো জায়গায় ২০৩ রুপি আবার শ্রীলংকার মতো দেশে আমার জানা মতে সাড়ে ৩০০ রুপি দৈনিক মজুরি আছে। তাহলে আমাদের দেশে এই বৈষম্যটা কেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ১২০ টাকা দিয়ে দুই কেজি চাল কেনার পরে আর কিছুই থাকে না।’

এদিকে ১৬৮টি চা বাগানের দেড় লাখেরও বেশি শ্রমিকের কর্মবিরতিতে দৈনিক ২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, জিডিপিতে এ শিল্পের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি চায়ের বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video