শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
#
চন্দনাইশ চন্দনাইশ

চকলেটের আসায় বাবার পথ চেয়ে দুই অবুঝ শিশু সাইদুল ও জান্নাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চন্দনাইশ
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২৪ মার্চ ২৭, ০২:১৭ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রাম চন্দনাইশে সিএনজি টেক্সিসহ আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া আবদুস সবুরের দুই অবুঝ  শিশু আব্বা আব্বা করে চারদিকে খুঁজছে তাদের পিতাকে। চকলেটের আশায় বাবার পথ চেয়ে আছে অবুঝ শিশু দুইটি। তবে এই অবুঝ শিশু দুইটি এখনো জানে না পৃথিবীর বুকে তাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল পিতা আর বেঁচে নেই। তাদের ছেড়ে তাদের পিতা পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।

গতকাল সকালে আবদুস সবুর সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার দুই সন্তানদের শেষ আদর করে বেরিয়েছিলেন জীবনের তাগিদের জন্য। কে জানতো এই যাওয়া যে শেষ যাওয়া হবে!   বিকেলে পুলিশের তাড়া খেয়ে ডাম্পারের সাথে ধাক্কা লেগে সিএনজি ও আবদুস সবুর আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়ার খবর শুনে নিহত সবুরের স্ত্রী রুমি আকতার (২৪), মা গোল চম্পা (৫৫) ও আত্মীয় স্বজনরা যখন ঘটনাস্থল কলঘর এলাকায় আসে তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। এ সময় তার ৫ বছরের অবুঝ শিশু পুত্র সাইদুল ইসলাম ও দেড় বছরের শিশু কন্যা মেহেরুল জান্নাত ফেল ফেল চোখে এদিকে ওদিক তাকাচ্ছিল এবং খুঁজছিলেন তাদের পিতাকে। 

এসময় আবদুস সবুরের স্ত্রী রুমি আকতার কান্না করতে করতে বলেন, তার স্বামী সকাল ১১টায় তাদের সন্তানদের আদর করে গাড়ি নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। সন্ধায় বাড়ি ফিয়ে একসাথে ইফতার করার কথা ছিল। এ বের হওয়া যে তার স্বামীর শেষ বের হওয়া হবে হয়তো তার জানা ছিল না। এখন তার অবুঝ দুই শিশু সন্তানের কি হবে,এদের দেখাশুনা কে করবে,তাদের ভরন-পোষন কে দিবে,এই অবুঝ শিশু দুইটি কাকে বাবা বলে ডাকবে। এসময় নিহত আবদুস সবুরের মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে এলাকার আকাশ-বাতাস। শোকে কাতর এলাকাবাসীসহ তার সহকর্মীরা। সবুরে মা বারবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, সবুর আমার সোনা মানিক। আমার নারী ছেঁড়া ধন। আমার পোলাডা কথা কয় না ক্যা! আমার বাবাডারে কেউ আইনা দেও।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video