রোববার রাত নয়টার দিকে দুদকের নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংসদ রেজাউল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। একটি শুল্কমুক্ত ল্যান্ডক্রুজার পাজেরো এবং একটি নোয়াহ মাইক্রোবাস আছে। ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট নেই। সশরীরে গিয়ে সম্পদের সব নথি দুদকে দেখানো হবে।’
বগুড়া-৭ আসনটি ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলী ও পাশের উপজেলা শাজাহানপুর নিয়ে গঠিত এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব জাতীয় নির্বাচনেই ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পান গাবতলীর বিএনপি নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন। কিন্তু তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে।
সাংসদ রেজাউল নানা আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়ে একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসে কালো রঙের নতুন ঝকঝকে একটি পিস্তল হাতে হাসিমুখে তোলা তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সাংসদ রেজাউলকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। অস্ত্র হাতে হাসিমুখে ফেসবুকে একটি ছবি পোষ্ট করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ (সংশোধন) বিল, ২০২০ পাস হয়। এতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই বিল পাসের আগে আইনের পক্ষে–বিপক্ষে সংসদে অনেক সাংসদ কথা বলেছেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বগুড়ার সাংসদ রেজাউল সংসদে বলেন, নারীমুক্তির নামে নারীবাদীরা নারীদের স্বাধীন হতে উৎসাহিত করছেন। এতে ধর্ষণকারীরা ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে। এসব নানা কথা বলে তিনি আলোচিত হন।
মন্তব্য করুন