রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
জেলা-উপজেলা জেলা-উপজেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ................................ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বদরখালী ফেরীঘাটে প্যারাবন কেটে দখল নিয়ে তৈরি করা সেই চিংড়ি ঘেরের বাঁধটি অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বদরখালী মহেশখালী সংযোগ সেতুর নীচে

দখলবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেল প্রকৃতি চকরিয়ায় প্যারাবন নিধন করে তৈরি সেই চিংড়ি ঘেরের বাঁধ অপসারণ


প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০২৪ জানুয়ারী ১৯, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
#

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
................................
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বদরখালী ফেরীঘাটে প্যারাবন কেটে দখল নিয়ে তৈরি করা সেই চিংড়ি ঘেরের বাঁধটি অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বদরখালী মহেশখালী সংযোগ সেতুর নীচে ফেরিঘাট এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.রাহাত উজ জামান এবং বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসার মেহেরাজ উদ্দিন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার চকরিয়া  উপজেলার উপকূলীয় জনপদে অবস্থিত বদরখালী 
সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতিতে প্রতিষ্ঠাকালীন ২৬২ জন সদস্য রয়েছে। ইতোমধ্যে সমিতি কতৃপক্ষ ২৬২ সদস্যদের শেয়ারগুলো ৯টি ওয়ার্ড ভাগ করে  প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে মৎস্য প্লট ভাগ করে দেওয়া হয়। তদমধ্যে বদরখালী ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ঘেরটি বরাদ্দ দেওয়া হয় ছনুয়াপাড়া লটারীঘোনা সমিতিকে। এই শেয়ারে অংশীদার ২৯জন। গত তিনদিন ধরে ছনুয়াপাড়া লটারীঘোনার পক্ষে ৩৫০ থেকে ৪০০জন শ্রমিক মাতামুুহুরী নদীর জেগে ওঠা চর ও প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের গড়ে তুলতে বাঁধ নির্মাণ করে। এ সময় খবর পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ এর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত জবরদখল চেষ্টা থামিয়ে দেন। উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন, দুইদিন আগে জবরদখল চেষ্টা থামানো হলেও গতকাল ভাটার সময় ধরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান ও রেঞ্জ অফিসার মেহেরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক শ্রমিক নিয়ে চিংড়ি ঘের তৈরির জন্য করা বাঁধ অপসারণ করে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ও  সুন্দরবন রেঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ উদ্দীন বলেন, গত শনিবার সকালে চকরিয়া সুন্দরবন রেঞ্জের বদরখালীতে মাতামুুহুরী নদীবেষ্টিত প্যারাবনের মধ্যে বাঁধ দিয়ে চিংড়িঘের নির্মাণ করতে চাইলে  উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বনকর্মীরা বাঁধ অপসারণ করতে যায়। কিন্তু ওইসময় নদীতে জোয়ার থাকায় বাঁধ অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। গতকাল সোমবার ভাটার সময়  শতাধিক শ্রমিক দিয়ে কেটে বাঁধ অপসারণ পুর্বক সেখানে উপজেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁধ অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান। তিনি বলেন, বদরখালী ফেরিঘাট এলাকায় জবরদখল করে চিংড়ি ঘের তৈরির জন্য করা বাঁধটি গতকাল সোমবার  অপসারণ করা হয়েছে। এরপরও দখলবাজরা পুনরায় বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করতে চাইলে তাদের   বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video