রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৭ আশ্বিন ১৪৩১
#
জেলা-উপজেলা জেলা-উপজেলা

ক্রেডিট কার্ড হ্যাক

শালা-দুলাভাইয়ের ভয়ংকর প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২৩ ফেব্রুয়ারী ০৬, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
#
চাঁদপুরে বসে দুলাভাই-শালা মিলে হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

চাঁদপুরে বসে দুলাভাই ও শালা মিলে হ্যাক করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বড় বড় কোম্পানির ইমেইল আইডি। শুধু তাই নয়, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হ্যাক করে অনলাইনে তারা লাখ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মো. হারুন অর রশিদ সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, জার্মানভিত্তিক একটি কোম্পানির ইমেইল আইডি হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুলাভাই ও শালাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি জানায়, ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেন রনি। এরপর হ্যাকিংয়ের কাজ করে তারা দুজনে মিলে ভয়ংকর প্রতারণা করতেন।

এহসানুল বারী নামে এক ব্যক্তি জার্মানভিত্তিক কারকন কার্গো লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তার ইমেইল আইডি হ্যাক করে জার্মানিতে অবস্থিত মূল কোম্পানির কাছ থেকে চার হাজার আটশ ডলার দাবি করে হ্যাকাররা। বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে সুইফট সিস্টেম থেকে লেনদেনটি স্থগিত করা হয়।

এ অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। সম্পর্কে তারা দুলাভাই ও শালা।

তারা হলেন শালা মাজহারুল ইসলাম শাকীল এবং দুলাভাই শহীদুজ্জামান রনি। গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পারে তাদের হ্যাকিং কার্যক্রম সম্পর্কে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ডার্কওয়েব থেকে বিভিন্ন ইমেইলের তথ্য সংগ্রহ করতেন রনি। এরপর ভিসা, মাস্টারসহ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও হাতিয়ে নিতেন তারা। একসময় পুরাতন কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করা রনির পরিচয় হয় হ্যাকারদের সঙ্গে। এরপর থেকে তারা দুজন মিলে শুরু করেন হ্যাকিংয়ের কাজ।

হ্যাক করা কার্ডের তথ্য দিয়ে দুলাভাই-শালা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনে লাখ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন। এখনও অনেক অর্ডার শিপমেন্টের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সচেতন মানুষ যারা, তারা জানার পরও ইমেইল মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড এবং ডেবিট ও ক্রেডিট থেকে তাদের যে তথ্য চুরি করে টাকা চলে যাচ্ছে, তারপরও তারা কোনো অভিযোগ করেন না।

ডোমেইন এবং সার্ভার ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video