শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
#
পটিয়া পটিয়া

ছিনতাইকৃত সিএনজি উদ্ধার ,পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সিএনজি চালক গুরুতর আহত

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২৪ মে ২১, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রামের পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক সিএনজি চালক। তার নাম মো: ইলিয়াস (৪২)। সে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নস্থ হাতিয়ারঘোনা গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। সে এক সময় বিদেশ থাকতেন। কয়েক বছর আগে দেশে এসে সিএনজি কিনে তা নিজে চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। 

আহত ইলিয়াসের ভাই মনজুরুল ইসলাম কাজল জানান , মঙ্গলবার আমার ভাই মো: ইলিয়াস সিএনজি চালিয়ে পটিয়া থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

দুপুর ১২.২০ ঘটিকার সময় বৈলতলী সড়কের হিলচিয়া এলাকায় পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একদল কিশোর গ্যাং উক্ত সড়কে গাছ ফেলে সিএনজির গতিরোধে করে । এসময় মো: ইলিয়াস কে জোর পূর্বক গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে অবৈধ অস্ত্র, ধারালো কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তার ধারে পুকুরে ফেলে দেয়। সেখান থেকে সে কোন রকমে পালিয়ে আত্মরক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে সে অচেতন হয়ে যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানেও তাকে ঘেরাও করে রাখে যাতে চিকিৎসা করতে যেতে না পারে। অপর দিকে সিএনজি গাড়িটি ছিনতাই ও ভাংচুর করে নিয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখে।

খবর পেয়ে পটিয়া থানার পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত আমার ভাইকে কে উদ্ধার করে পটিয়া মেডিকেলে প্রেরন করে এবং সিএনজি গাড়িটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন ।

অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পটিয়া মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী অপর সিএনজি চালক মো: সোহেল(২৪) জানান, স্থানীয় কিশোর গ্যাং তৈয়ব(৪৫), সাজ্জাদ(৩৮), শফিক(৩৫), সরু(৪০), সামশু(৪১), জমির (৪৫), মনসুর(২০), সাকিব (১৮) সহ ১০-১২ জনের একটি দল সিএনজির গতিরোধ করে মো: ইলিয়াস কে মারাত্মক গুরুতর আহত করে। 

এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাকেও মারধর করে। তারা আমাদের মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। এর আগে গত শনিবার স্থানীয় ফজল মেম্বার বাড়িতে একটি জেয়াফত অনুষ্ঠানেও এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কয়েকজনকে মারধর করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ঐ জেয়াফত অনুষ্ঠানে যেতে দেয়নি ।

ঐ সময় পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার আকরাম হোসাইনের সহযোগিতা চাইলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবার এই ধরনের ঘটনা করার সাহস করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।

এই ঘটনায় সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অনুসারী আলমগীর খালেদ ও আবছার এবং বিএনপি নেতা মোনাফের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশেনা এবং তাদের অসহযোগিতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ঘটনার বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video