শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
#
পটিয়া পটিয়া

পটিয়া উপজেলা নির্বাচন,সংবাদ সম্মেলনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আ: লীগ নেতা হারুন প্রতিদন্ধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল পরিকল্পনার অভিযোগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৪ মে ২৬, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
#

পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হাজী মু. হারুনুর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আর এ অভিযোগের তীর অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াতকলম প্রতীকের দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে। 

রবিবার (২৬ মে) দুপুরে হারুনুর রশিদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জনগনের পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে দুই দুইবার পটিয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আমি এলাকাবাসীর সেবা করেছি। তৃণমূলে রাজনীতি ছাড়াও ধর্মীয়, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে গিয়ে পটিয়ার আনাচে কানাচে আমার বিচরণ। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আমার হাত দিয়েই পটিয়ায় যাত্রা শুরু করে। যা এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে। পারিবারিকভাবে আমাদের ঐতিহ্য রয়েছে। পটিয়ার আপামর জনসাধারনের সাথে ছিলাম, আছি এবং যতদিন বেঁচে থাকি পাশে থাকবো।

আগামী ২৯ মে পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এখানে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন উৎসবমুখর করতে দলীয় প্রতীক তুলে দেন। কিন্তু পটিয়ায় দলের লেবাসধারী কিছু ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত করার জন্য নানান ধরনের ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দলীয় এমপি, মন্ত্রীদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতেও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও নীতি নিধারনী বৈঠকে বলেছেন। উৎসরমুখর পরিবেশের ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমার একমাত্র প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী দিদারুল আলম নানা বির্তকিতমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তিনি আমার ভোটার ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো ছাড়াও বহিরাগত লোক এনে ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট নেওয়ার পরিকল্পনাও নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আমার নির্বাচনী ব্যানার, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। 

স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় সেজন্য আমি ইতোমধ্যে প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে র‍্যাব, পুলিশ, আনসার ও ম্যাজিষ্ট্রেটের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পটিয়ায় অব্যাহত রাখতে আমাকে বিজয়ী করবেন এটা আমি আশা রাখি।  

তিনি বলেন, আমি পটিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলাম আমার সময়ে ব্যাপক কাজ করেছি। জনতা আমাকেই চায়। তাই আগামী ২৯ মে পটিয়ায় ভোট উৎসবে জনগণ অংশ নিয়ে সন্ত্রাস রুখে দেবে এবং আমাকেই বিজয়ী করবেন। 

১২৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বিশেষ করে পটিয়ার শোভনদন্ডী, ছনহরা, ভাটিখাইন, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, কোলাগাঁও, কুসুমপুরা, হাইদগাঁও ও পটিয়া পৌরসদরের বেশ কিছু ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এবং প্রতিদ্বনন্ধী প্রার্থী যাতে কেন্দ্র দখল করে ভোট নিতে না পারেন সে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন এ রাজনীতিবিদ। 

প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আমার নির্বাচনী ব্যানার, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবদুল খালেক, পৌর আ: লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, মহানগর যুবলীগের সদস্য মোক্তার আহমদ আরিফ, আ: লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, পৌর আ: লীগ নেতা মো. শাকিল, এটি এম শাহজাহান, আবদুল মাবুদ বাবুল, সামশুল আরেফিন পিন্টু, মো. ইসহাক, লোকমান সিকদার, শাহাদাত হোসেন রানা, মো. আবসার, কিশোর দাশ, জাহেদুল হক, নাছির উদ্দিন, পৌর আ: লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, সোহেল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক, ইকবালুর রহমান ওপেল, রবিউল হোসেন ইবলু, মোরশেদ আলম অভি প্রমুখ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video