শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
#
পটিয়া পটিয়া

পটিয়ায় হারুনের সমর্থকরা স্থায়ী, দিদারের সমথর্করা ভাসমান ॥ দোয়াত কলমের চেয়ে জরিপে এগিয়ে আনারস প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২৪ মে ২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
#

পটিয়া উপজেলা পরিষদের আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের পটিয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাত্র দুই প্রার্থী। কারো সমর্থক স্থায়ী আর কারো ভাসমান।

তারা হলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক  মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ (আনারস) এবং মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার (দোয়াতকলম)। নির্বাচনের মাঠে দুই প্রার্থীর সমান তালে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদের কর্মী সমর্থকরা স্থায়ীভাবে নির্বাচনী কাজ করছে। তবে নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার (দোয়াত কলম) প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা অনেকটা ভাসমান। 

দিদারের পক্ষে যারা কাজ করছে তারা অনেকে সুবিধামত সময়ে অধ্যাপক হারুনুর রশীদের সশরীরের দেখা কেউ মোবাইলে আবার কেউ কেউ গোপনীয়তা রক্ষা করেই আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে বলে ভোটাররা জানান। কিছ কিছু ব্যাক্তি এলাকায় দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও  প্রকাশ্যে আসছে না। আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদের বাড়ি পটিয়া পৌরসভায় হওয়ায় পৌরসভার ৭৫% ভোটার তার পক্ষে এছাড়াও পৌরসভার আশপাশের ইউনিয়ন ভাটিখাইন, কচুয়াই, খরনা, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, জঙ্গলখাইন, ধলঘাট, আশিয়া, কেলিশহর, বড়লিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীক সমর্থনের দিক দিয়ে দিয়ে ৬৫% এগিয়ে রয়েছে। বাকী ইউনিয়ন শোভনদন্ডী, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, কোলাগাঁও, কুসুমপুরা ইউনিয়নে দোয়াত কলম প্রতীক আর আনারস প্রতীকের সমর্থন কিছু এলাকায় ৪৮/% দোয়াত কলম সমর্থনের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও সার্বিকভাবে আনারস প্রতীক এগিয়ে রয়েছে বলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষন সংস্থার জানিপপ এবং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং বেসরকরি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে আসছে। নিরপ্রেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে আনারস প্রতীকের জনপ্রিয়তা দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ে গড়ে ১৫.৮০% বেশী। ব্যক্তির দিক দিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা প্রায় ২০% এর বেশী ভোটারদের কাছে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষন সংস্থা  প্রত্যাক ইউনিয়নে ১০০ জন ভোটারদের সাথে কথা বলে জরিপ করেছে।

দুই প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে  পটিয়া উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পটিয়ায় আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম দ্বিধা বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষেবিপক্ষে পুরো পটিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কিছু নেতাকর্মী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও অধিকাংশ নেতাকর্মী তাদের অবস্থান নিয়ে এখনো দুটানায় রয়েছে। দলীয় বিভক্তির রেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি আক্রমণাত্মক তীর ছুঁড়ছেন। বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা ও সভা সমাবেশে এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে ঘায়েল করার জন্য পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য রেখে মাঠ গরম করছেন।

পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দীন বলেন, কিছু মানুষ দোয়াত কলম আর আনারস প্রতীকের উভয় প্রার্থীর সাথে সর্ম্পক রেখে চলছে বিষয়টি সঠিক আমাদের নজরে এবং প্রার্থীর নজরেও আসছে। তবে আমরা তাদের বিষয়ে খুব সজাগ আছি। আসারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা পটিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগ  নেতা সাহাব উদ্দীন বলেন, পটিয়ার মানুষের সাথে পরীক্ষিত হচ্ছে অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, উনি শিক্ষিত, ভদ্র, ভালো পরিবারের মানুষ, জনপ্রিয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধি যার কারণে উনার অবস্থান পরিচিত সাধারণ মানুষের কাছে খুব বেশি নির্বাচনে উনাকে যে কেউ চিনে সবাই ভালোবাসেন উনাকে উনার প্রতি পটিয়ার গণমানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস সেটা নির্বাচনে প্রমান হবে।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, পটিয়া উপজেলার পরিষদের  নির্বাচনের এখন মাত্র কয়েকদিন বাকী আমরা সরেজমিন মাঠের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি। আমাদের সংস্থার কাজই হচ্ছে নির্বাচনী কাজ করা। জরিপে অনেক সময় কোন প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে গেলেও কিছু করার নেই। তবে ভোটের দিন নির্বাচন কিভাবে হচ্ছে প্রভাব এবং ভোটারদের উপস্থিতির উপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video