শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
#
পটিয়া পটিয়া

এস. আই কে অপসারণের দাবীতে মহাসড়কে অবরোধ, পটিয়ায় অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় নিরীহ ব্যক্তিকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা। মামলা রেকর্ডের পূর্বেই আসামীকে জেলে প্রেরণ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৪ মার্চ ১৭, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
#

পটিয়া থানার এস. আই জাকির হোসেনকে অপসারণের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে উপজেলার আজিমপুর গ্রামের বিক্ষুদ্ধ লোকজন।

গতকাল (শনিবার) বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের জুলুর দিঘীর পাড় এলাকায় বিক্ষুদ্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ করে।

অবরোধের ১৫ মিনিটের মাথায় কচুয়াই ইউ,পি চেয়ারম্যান ইনজামামুল হক জসিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে নেয়। এত দুই দিকের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে আজিমপুর গ্রামের লোকজন একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঐ এলাকার ওবায়দুল হক প্রকাশ এ. কে. খান নামের এক ব্যক্তিকে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়ে হেলহাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকার সেকান্দর আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, নিলু আক্তার নামের একজন খারাপ মহিলা আজিমপুর গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে জনৈক ছলমা বেগম নামের মহিলা থেকে ঘর ভাড়া নেয়। সেখানে প্রায় সময় অচেনা লোকজন আসা যাওয়া করে থাকে। এছাড়া তাদের নিয়ে অনৈতিক কাজ লিপ্ত হয়। এর প্রতিবাদ করায় এ.কে. খানের উপর নিলু আক্তারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ.কে. খাঁনকে  ফাঁসানোর জন্য নিলু আক্তার কয়েকবার হুমকি দেয়।

এর জের ধরে গত ১৪ মার্চ সকাল ১১ ঘটায় এ.কে.খান ও তার স্ত্রী শাহানা আক্তার বুলুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে নিলু আক্তার তার ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মর্মে পটিয়া থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের তদন্ত না করেই এই দিন বিকাল ৪ টায় এস.আই জাকির হোসেন এ.কে. খান কে তার বাড়ি থেকে তুলে থানায় নিয়ে আসে।

পরদিন ১৫ মার্চ বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করে। ১৫ মার্চ রাত ১০ টায় থানায় একটি মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রেকর্ড করে। এব্যাপারে কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগনেতা সাইফুল্লাহ মজুমদার জানান নিলু আক্তার সাবেক রোহিঙ্গা অধিবাসী ছিল। উত্তর শ্রীমাই গ্রামে জায়গা ক্রয় করে বসত ঘর নির্মাণ করেন। সেখানে অনৈতিক কাজের কারণে এলাকার লোকজনের চাপে পড়ে জায়গা বিক্রয় করে দিয়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান নেন। এস.আই জাকির হোসেনের চরিত্র ভাল নয়। তিনি প্রায় সময় নিলু আক্তারের বাসায় আসা-যাওয়া করত। এ সুযোগে এ. কে. খান কে ফাঁসানোর জন্য উক্ত এস.আই ভূমিকা রাখে। 

পটিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা সাজেদা বেগম বলেন এ. কে. খানকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে ইউ,পি চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম ও এলাকার লোকজন নিয়ে আমরা থানায় যাই। এলাকার লোকজন দেখে নিলু আক্তার মিথ্যা মামলা রেকর্ড করতে না চাইলেও এস. আই. জাকির হোসেনের চাপে পড়ে মিথ্যা মামলাটি রেকর্ড করে।

কচুয়াই ইউ,পি চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম বলেন, এ. কে. খান নিলু আক্তারের অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় রোষানলের শিকার হন। এস. আই ও ওসি কে মিথ্যা মামলা রেকর্ড না করার জন্য অনুরোধ করলেও তারা অনুরোধ রক্ষা করেনি। এছাড়া পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যে ডাক্তার রিপোর্ট দিয়েছে সে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব তার নেই। সংবাদ সম্মেলনে শতশত লোক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহেদুল হক, লাল মিয়া, মোহাম্মদ গনি, মোজাফফর আহমদ, মোহাম্মদ ইসলাম, লেদা মিয়া, রেজাউল করিম, মোঃ ফারুক, শাহনেওয়াজ প্রমুখ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video