শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
পটিয়া পটিয়া

ভাষা আন্দোলন ও একুশের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে- মোতাহেরুল ইসলাম

পটিয়ায় তিন দিন ব্যাপী একুশে বই মেলার উদ্ধোধন:

পটিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০২৪ ফেব্রুয়ারী ২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
#
বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া ক্লাব মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্ধোধন করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবর্নিবাচিত সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।

 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী একুশে বই মেলা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে এ মেলা চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত পটিয়া ক্লাব মাঠে চলবে এ মেলা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া ক্লাব মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্ধোধন করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবর্নিবাচিত সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।

পটিয়া বিপ্লবের চারণভূমি, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই পটিয়ার রয়েছে সমৃদ্ধ অতীত। সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা কিংবা স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে পটিয়ার সূর্য সন্তানেরা পথ দেখিয়েছে জাতিকে। ভূমিপুত্রদের গৌরবে পটিয়া গৌরবান্বিত। "বিপ্লবের তীর্থভূমি" খ্যাত পটিয়া বরাবরই সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান। সেই বিপ্লবী পটিয়ায় তিন দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে বাঙ্গালির প্রাণের মেলা-বই মেলা। বই অতীতের সাথে বর্তমানের সাঁকো বন্ধনের কাজ করে। নতুন প্রজন্মকে বইয়ের সাথে পরিচিতি ঘটাতে, তাদের মানসিক উৎকর্ষতা সাধনে একুশে বই মেলা পরিষদ পটিয়ার এই প্রয়াস।

বৃহস্পতিবার বই মেলার উদ্ধোধন পরবর্তী এক আলোচনা সভা পটিয়া ক্লাবের মুক্ত মঞ্চে একুশে বই মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিকার গৌতম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং জনপ্রশাসন মনন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলাউদ্দীন ভূঞা জনী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা আফরোজ, জেলা আ: লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রদীপ দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দীন আহমেদ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. শামসুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ম.ম. টিপু সুলতান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, সদস্য মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, গোলাম সারোয়ার চৌধুরী মুরাদ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রসাশন  মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, বইমেলা এখন আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলার সঙ্গে আমাদের ভাষা ও বর্ণমালার যোগসূত্র। বইয়ের সঙ্গে মানুষের প্রীতিময় সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় এবং প্রাচীন। বই পড়ার অভ্যাস সারা বছরের বিষয় হলেও আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পায় যেন বইমেলায় এসে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার সর্বোত্তম জায়গা পরিবার। সেখান থেকেই তৈরি হওয়ার কথা বইপড়ুয়া প্রজন্ম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সময়ের সঙ্গে আমরা যেন সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। আর এই সুযোগে অপসাংস্কৃতি আমাদের মননে ভাঙন শুরু করেছে। ফলে সমাজে ফুলেফেঁপে উঠছে অস্থিরতা। শূন্যতা, হাহাকার ধ্বংস করতে বসেছে আমাদের সৃজনী-ক্ষমতা আর মানবিক মূল্যবোধকে। ভাষা আন্দোলন ও একুশের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতিবিদরা যখন সংস্কৃতিমূখী হন তখন দেশ এগিয়ে যায়। বইয়ের প্রচার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারলেই তখনই বই মেলার সার্থকতা।

এরআগে দুপুরে দুই শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে কুইজ ও চিত্রাঙকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাতে চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video